কমরেডস,
আজ বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ২৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সারা রাজ্যে বিএসএনএলইইউ’র বিভাগ ও শাখা সংগঠনগুলির উদ্যোগে আজ সর্বত্র এই দিনটি উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালন করা হচ্ছে। সর্বত্রই নেতৃত্ব এই মহতী সংগঠনের বিগত ২২ টি বছরের নিরবচ্ছিন্ন লড়াই আন্দোলনের ইতিহাস বর্ণনার সাথে সাথে বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করছেন। প্রতিটি সভায় কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিএসএনএল বিরোধী তথা রাষ্ট্রায়ত্ত দপ্তর বিরোধী মনোভাব সর্বোপরি দেশের শ্রমজীবী জনগণ বিরোধী ও কর্পোরেট দরদী ভাবনার নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে নেতৃত্ব। তারা বলেন দেশের মোদি সরকার কর্পোরেট তোষণের নামে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে হাতিয়ার করে শ্রমজীবী জনগণের ঐক্যকে ভেঙ্গে দিতে চাইছে এর বিরুদ্ধে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে একে প্রতিহত করতে হবে।
আজই সারা দেশে কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের যেভাবে লড়াই আন্দোলনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে সেই নির্দেশিকা আমাদের বিএসএনএল দপ্তরেও আসতে দেরি হবেনা, আমাদের সদাসতর্ক থাকতে হবে। এই ভাবনা সরকারের চূড়ান্ত স্বৈরাচারী মনোভাবেরই প্রকাশ বলে নেতৃত্ব ক্ষোভ ব্যক্ত করেন।
আমরা জানি সরকার ভিআরএস এর নামে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ হাজার নিয়মিত কর্মীদের ছাঁটাই করেছে এখন প্রশাসন কন্ট্রাক্ট কর্মীদের এসএলএ’র নামে কর্মচ্যুতি ঘটাচ্ছে। নিয়মিত কর্মীদের বেতন চুক্তি, কন্ট্রাক্ট কর্মীদের বকেয়া বেতন, পেনশনারদের পেনশন রিভিশন ও কর্মচ্যুতি রুখে দেওয়া সহ বিভিন্ন ন্যয্য দাবিতে সংগঠনের লড়াই চলছে।
আগামী ৫’ই এপ্রিল,২৩ দিল্লিতে শ্রমিক-কৃষকদের আহ্বানে যে কর্মসূচি তাকে বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন তথা বিএসএনএল কো-অর্ডিনেশন কমিটিগত ভাবে সফল করার শপথ আজই নিতে হবে শুধু তাই নয় এই কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে সমস্ত কর্মসূচিও পালন করতে হবে।
একইসাথে এই সার্কেলের বর্তমানে রাজস্ব আদায়ে ২৫% হ্রাস হওয়ায় ইতিমধ্যেই বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন তার উদ্বেগ সিজিএমএর কাছে মেমোরান্ডাম’ মারফত জমা দিয়েছে। অর্থাৎ শুধু কর্মচারীদের দাবিদাওয়া নয় দপ্তর রক্ষার লড়াইতেও বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সমানভাবে তার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি নাগরিক জীবনে যে সমস্যাগুলোর আমরা প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হচ্ছি, সর্বগ্রাসী দূর্নীতি, তোলাবাজি মোটের ওপর এক অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আমাদের রাজ্যের যে পরিবেশ তার মোকাবিলায় বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার অঙ্গীকারও আজ আমাদের করতে হবে।
পরিশেষে বলি, ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ও শিক্ষক কমরেড কেজি বসু’র কথায় “Struggle for Unity” এবং “Unity for Struggle” কে পাথেয় করে এগিয়ে যাওয়াই হোক আজকের শপথ!!!
ঐক্য, ঐক্য এবং ঐক্যই হোক আজকের শ্লোগান!!!!
সংগ্রামী অভিনন্দন সহ
সুজয় সরকার,
সার্কেল সম্পাদক,
পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল।