*১১ – ০২ – ২০২৪* *দ্বিতীয় দিন*
*বিএসএনএলইইউ পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের বর্ধিত কার্যকরী কমিটির সভা*
বিএসএনএলইইউ পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের দুই দিনের বর্ধিত কার্যকরী কমিটির সভার ২য় দিন খড়গপুর জেলা সম্পাদক কমরেড অরিন্দম মজুমদারের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হয়েছে। এরপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কমরেড শৈলেন গাঙ্গুলী, জেলা সম্পাদক সিজিএমটি জেলা, কমরেড মানিক ভর, জেলা সম্পাদক, প্রোজেক্ট জেলা, কমরেড সুবর্ণ নন্দী, টেলিকম স্টোর, কমরেড সঞ্জয় পাল, জেলা সম্পাদক বাঁকুড়া জেলা। এরপর সার্কেল অফিস বিয়ারার্সরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য রাখেন কমরেড ইমরান খান। তিনি বলেন ৪জি, ন্যাশনাল মানিটাইজেশন ইত্যাদি বিষয়ে কর্মচারীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম ঐক্যবদ্ধ লড়াই। তিনি ১৬ই ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আমাদের করণীয় কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন। তিনি নয়া শ্রমকোডের বিপদ সম্পর্কেও বক্তব্য রাখেন। কমরেড নরেন্দ্র কুমার মিশ্র মোবাইল পরিষেবা সম্পর্কে বলেন। তিনি বলেন, সংগঠনের অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি ঠিক থাকে তাহলে সেই সংগঠন ভালোভাবে চলবে। কমরেড মমতা সরকার শাখা সংগঠন রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। তিনি মহিলাদের বেশি বেশি করে সামনের সারিতে নিয়ে আসার কথা বলেন। কমরেড ঝুমুর বনধ্যপাধ্যায় রাজ্য ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই-এর কথা বলেন। বর্ধমান কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক কমরেড মানিক দাস সভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন আমাদের নীতি ও আদর্শ ঠিক আছে বলেই সমস্ত রকম আক্রমণকে মোকাবিলা করে কো-অর্ডিনেশন কমিটি বর্ধমানে শক্তিশালী এক সংগঠন। তিনি বলেন নারী শক্তিকে উজ্জীবিত করার কথা বলেন। সার্কেল ইউনিয়নের পেট্রোন কমরেড রামপ্রসাদ দত্ত শাখা সংগঠনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। ১৬ই ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের দিন অফিস এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার মধ্যে দিয়ে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান। কমরেড মধুসূদন সাহা বলেন বিএসএনএলইইউ শক্তিশালী থাকলে এআইবিডিপিএ এবং বিএসএনএলসিএমইউ শক্তিশালী থাকবে। কমরেড মানিক সরকার নিয়মিত কার্যকরী কমিটির ও সাধারণ সভা করার কথা বলেন। তিনি ইপিএফ পেনশনারদের সংঘবদ্ধ করে একটা সংগঠন তৈরি করার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। বর্ধমান জেলা সম্পাদক কমরেড সোলেমান বলেন, কর্মচারীদের যন্ত্রনার মূল কারণ সরকারের নীতি। সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করে এই যন্ত্রণার লাঘব করতে হবে।কমরেড মমতা সরকার অভ্যর্থনা কমিটিকে ২০০০ টাকা অনুদান দিয়েছে।
বর্ধিত কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৩৫ জন বক্তা বক্তব্য রেখেছেন। জবাবী ভাষণ দেন কমরেড সুজয় সরকার, সার্কেল সম্পাদক। তিনি বলেন জেলা সংগঠনের কাজ কর্মের বিষয় সার্কেল ইউনিয়ন সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষন করছে। ভিআরএস হয়ে যাওয়ার পর সংগঠনের এক সংকট তৈরি হয়েছিল। সার্কেল ইউনিয়ন সেই সংকট দূর করার চেষ্টা করছে। নতুন প্রজন্মের সদস্যদের সামনের সারিতে আনা হচ্ছে। এআইবিডিপিএ অভিভাবকের কাজ করলে এই সংকট অতি শীঘ্র দূর করা সম্ভব। সংগঠনের অনুশাসন মানতে হবে। ১৬ই ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট এ রাজ্যে কো-অর্ডিনেশন কমিটির ব্যানারে হবে। সিএইচকিউ-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মঘট সফল করতে ১২ – ১৫ই ফেব্রুয়ারি মীট দ্য এমপ্লয়িজ কর্মসূচি সংগঠিত করতে হবে। পরবর্তীকালে মীট দ্য ফ্যামিলী কর্মসূচি সংগঠিত করতে হবে। সার্কেল ইউনিয়নকে না জানিয়ে শাখা সংগঠনগুলোকে সংকুচিত করে দেওয়া হচ্ছে। এ করা যাবে না কারণ শাখা সংগঠন মূল শক্তি। এ বিষয়ে সার্কেল ইউনিয়নের সাথে আলোচনা করে এগোতে হবে। বকেয়া জেলা ও শাখা সম্মেলনগুলি মার্চ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। সঠিক সময়ে সম্মেলন, জিবি ও সঠিকভাবে কর্মসূচি সংগঠিত করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। ওএ স্তরে মার্চ মাসের মধ্যে ফর্মাল মিটিং চেয়ে ম্যানেজমেন্টকে চিঠি দিতে হবে। ম্যানেজমেন্ট মিটিং করতে না চাইলে আন্দোলনে যেতে হবে এবং সার্কেল ইউনিয়ন কে জানাতে হবে। অতি দ্রুততার সাথে জেলা সম্পাদকদের লোকাল কাউন্সিলের নমিনেশন সার্কেল সম্পাদকের কাছে পাঠাতে হবে। আমাদের সংগঠিত ক্ষেত্রে অসংগঠিত কর্মচারীদের সংগঠিত করার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। WWCC পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের কমিটি মিটিং ও সাধারণ সভা মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই মার্চের মধ্যে ওএ স্তরে মিছিল ও স্ট্রীটকর্ণার অনুষ্ঠিত করতে হবে। দুই কো-অর্ডিনেশন কমিটি যৌথভাবে কোলকাতায় ২০শে মার্চের মধ্যে পদযাত্রা সংগঠিত করবে। তিনি ২০২৫-এ সার্কেল সম্মেলন শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত হবে। শিলিগুড়ি বিএ গতভাবে এই সম্মেলনের উদ্যোগ গ্রহন করবে। এই সম্মেলন সফল করতে পরবর্তীকালে পরিকল্পনা সার্কেল ইউনিয়ন গ্রহণ করবে।
নিম্নলিখিত প্রস্তাব গৃহীত হয়:-
১) বেহাল পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের বিএসএনএল পরিষেবা ।
২) শিলিগুড়িতে জিএম পোস্টিং।
৩) কর্মচারীদের জন্য ফ্রী FTTH সংযোগ।
সভাপতি কমরেড অনিমেষ মিত্র স্থানীয় ইস্যুগুলি চিহ্নিত করে লড়াই আন্দোলন কর্মসূচি সংগঠিত করার পরামর্শ দেন।এবং সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।